আদা চা শুধু একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পানীয়ই নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকেও এটি অতুলনীয়।
আদায় থাকা জিনজেরল নামক উপাদান ঠান্ডা-কাশি থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা পর্যন্ত নানা অসুখে প্রাকৃতিক সমাধান দেয়।
কার জন্য উপকারী?
- ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন: প্রাকৃতিক কফ নাশক হিসেবে কাজ করে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার করে।
- বমি বমি ভাব: আদার জিনজেরল বমির ভাব কমায়।
- হজম সমস্যা: পাচক রস নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে।
- জয়েন্ট ব্যথা: প্রদাহবিরোধী গুণ ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
- মাথাব্যথা: রক্ত চলাচল বাড়িয়ে স্বস্তি দেয়।
- গর্ভবতী মায়েরা: মর্নিং সিকনেসে প্রাকৃতিক উপশম দেয়।
সাবধানতা
- উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে সাবধান থাকুন, কারণ আদা ওষুধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- রক্ত পাতলা করার ওষুধ (অ্যাসপিরিন, ওয়ারফেরিন) খেলে আদা চা এড়িয়ে চলুন।
- অতিরিক্ত সেবনে পেট জ্বালাপোড়া ও অম্লতা হতে পারে।
- পিত্তথলির পাথর থাকলে সতর্ক থাকুন।
- অপারেশনের আগে অন্তত ২ সপ্তাহ আদা চা বন্ধ রাখুন।
সঠিক পরিমাণ ও নিয়ম
প্রতিদিন ২-৩ কাপ আদা চা পান করুন।
১ ইঞ্চি তাজা আদা ১ কাপ পানিতে ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন।
স্বাদ বাড়াতে চাইলে মধু ও লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
- সকালে ও সন্ধ্যায় পান করা সবচেয়ে উপকারী।
- ঠান্ডা লাগলে দিনে ৪-৫ কাপ পান করতে পারেন।
- খাবারের আধা ঘন্টা আগে পান করলে হজমে সাহায্য করে।
- তাজা আদা গুঁড়া আদার চেয়ে বেশি কার্যকর।
সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- অতিরিক্ত সেবনে পেট জ্বালা ও অম্লতা বেড়ে যেতে পারে।
- নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে সমস্যা বাড়তে পারে।
- অপারেশনের সময় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- কিছু ওষুধের কার্যকারিতা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।
- অতিরিক্ত সেবনে ডায়রিয়া বা অ্যালার্জি হতে পারে।
সব মিলিয়ে, সঠিক পরিমাণে আদা চা পান করলে এটি একটি নিরাপদ ও কার্যকর প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে
এবং শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করে।