পানি আমাদের জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের গরম আবহাওয়ায় পানির চাহিদা আরও বেড়ে যায়।
কাদের জন্য উপকারী
সবার জন্যই পর্যাপ্ত পানি পান অত্যাবশ্যক — এটি জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। নিচে কয়েকটি গ্রুপে এর বিশেষ উপকারিতা দেওয়া হলো:
- কিডনি সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা: পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন: পর্যাপ্ত পানি মল নরম করতে সহায়ক।
- ত্বকের সমস্যা আছে: নিয়মিত পানি ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সাবধানতা
- অতিরিক্ত পানি পান করবেন না — এতে হাইপোনেট্রিমিয়া (রক্তে সোডিয়ামের ঘাটতি) হতে পারে।
- খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি পান এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।
- সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করুন — ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি ব্যবহার করুন।
- হার্ট ও কিডনির গুরুতর রোগ থাকলে পানি পানের পরিমাণ সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- রাতে অতিরিক্ত পানি পান এড়ান কারণ এতে ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে।
সঠিক পরিমাণ ও নিয়ম
সাধারণ নির্দেশিকা (বয়স, ওজন, পরিবেশ ও শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে):
- দৈনিক: ৮–১০ গ্লাস (প্রায় ২–২.৫ লিটার) পানি পান করুন।
- গরমে: ১০–১২ গ্লাস (প্রায় ৩ লিটার) পানি প্রয়োজন হতে পারে।
- ডাবের পানি: দৈনিক ১–২ গ্লাস গ্রহণ করা যেতে পারে — এতে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট থাকে।
- ব্যায়ামের পর: অতিরিক্ত ২–৩ গ্লাস পানি পান করুন (পাউরুষ্য ও ক্ষুধামূত্র অনুযায়ী সামঞ্জস্য করুন)।
- সকালে উঠে: প্রথমে ১–২ গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস করুন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- অতিরিক্ত সেবনে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার ফলে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে।
- পেট ফুলে যাওয়া এবং অস্বস্তি ঘটতে পারে।
- খুব বেশি পানি পেলে হাইপোনেট্রিমিয়ায় মাথা ঘোরা, বমি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।