বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরের দেশি মাছ আমাদের পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। রুই, কাতলা, ইলিশ, পুঁটি, কৈ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
কাদের জন্য উপকারী
- হার্টের রোগীদের জন্য দেশি মাছ বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
- বাড়ন্ত শিশুদের জন্য মাছ অপরিহার্য, কারণ এতে উচ্চমানের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যা তাদের সুস্থ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- প্রেগন্যান্ট ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্যও মাছ অত্যন্ত উপকারী।
- বয়স্কদের হাড় ও মাংসপেশি মজবুত রাখতে নিয়মিত মাছ খাওয়া জরুরি।
সাবধানতা
- সবসময় তাজা মাছ কিনুন, কারণ বাসি মাছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
- মাছ ভালভাবে রান্না করুন, কারণ কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছে পরজীবী থাকতে পারে।
- মাছে অ্যালার্জি থাকলে এড়িয়ে চলুন।
- অতিরিক্ত তেলে ভাজা মাছ এড়ান, কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি যুক্ত হয়।
সঠিক পরিমাণ ও নিয়ম
- সপ্তাহে ৩–৪ দিন ১০০–১৫০ গ্রাম মাছ খান।
- ছোট মাছ (পুঁটি, কৈ) দৈনিক ২–৩ পিস খেতে পারেন।
- বড় মাছ (রুই, কাতলা) ১–২ পিস যথেষ্ট।
- ইলিশ মাছ সপ্তাহে ১–২ বার প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণে খান।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- কিছু মানুষের মাছে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে।
- অতিরিক্ত সেবনে মার্কারি পয়জনিং-এর ঝুঁকি থাকতে পারে।
- দূষিত মাছ খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত ভাজা মাছ খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।