প্রাকৃতিক ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস
প্রকৃতি আমাদের বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল উপহার দেয়। গ্রীষ্মে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, বর্ষায় পেয়ারা, আমড়া, শীতে কমলা, মাল্টা – প্রতিটি মৌসুমি ফলেই রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।
কাদের জন্য উপকারী
সব বয়সের মানুষের জন্যই মৌসুমি ফল উপকারী। ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা মৌসুমি ফল থেকে প্রাকৃতিক ভিটামিন পাবেন যা কৃত্রিম সাপ্লিমেন্টের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান এমন মানুষদের জন্য ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে চাইলে ফলের পটাশিয়াম ও ফাইবার উপকারী। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান এমন ব্যক্তিরা নিয়মিত বিভিন্ন রঙের ফল খান।
সাবধানতা
ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে ফল খান কারণ ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়াতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট ফলে অ্যালার্জি থাকলে সেটি এড়িয়ে চলুন। ফল খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন কারণ কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। সবসময় পাকা ফল খান – কাঁচা ফলে ক্ষতিকর টক্সিন থাকতে পারে। রাতে অতিরিক্ত ফল এড়ান কারণ এতে হজমে সমস্যা হতে পারে।
সঠিক পরিমাণ ও নিয়ম
দৈনিক ২-৩ টি মাঝারি আকারের ফল খান। বিভিন্ন রঙের ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ প্রতিটি রঙে ভিন্ন ভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। খাবারের ১-২ ঘন্টা পর ফল খেলে হজমে সুবিধা হয়। সকাল ও বিকেলে ফল খাওয়া সবচেয়ে ভাল। সপ্তাহে অন্তত ৫ ধরনের বিভিন্ন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অতিরিক্ত ফল খেলে পেট খারাপ ও ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিছু ফলে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে যেমন ফুসকুড়ি বা চুলকানি। অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণে পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। কিছু অম্লযুক্ত ফল দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে।
প্রতিটি মৌসুমে সেই মৌসুমের ফল খেয়ে আপনি প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারবেন।